মাগুরা: ঢাক, ঢোল, খোল, বাঁশি, একতারা, দোতারা, বেহালা, তানপুরা, খমক, মাটির হাড়ি ও হারমোনিয়ামে তোলা সুরের ঝঙ্কারে শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন মাগুরার বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই দেশীয় যন্ত্রসঙ্গীত উৎসব।
মাগুরা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিক উৎসবের চতুর্থ দিনে হারিয়ে যাওয়া দেশীয় বাদ্যযন্ত্র সঙ্গীতের সুর ধরে রাখতে এমন আয়োজন করা হয়।
দেশীয় যন্ত্রসঙ্গীতের মাধ্যমে লোকজ, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, নজরুল ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর তুলে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অনুপ চ্যাটার্জি বলেন, বাঙালি বাদ্যপ্রিয় জাতি। আমাদের দেশীয় যন্ত্রসঙ্গীতের মধ্যে প্রায় ৫০০ রকমের বদ্যযন্ত্র ব্যবহারের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সঙ্গীতে অতিমাত্রায় বিদেশী যন্ত্র ব্যবহারের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় বাদ্যযন্ত্র। মাগুরা জেলা শিল্পকালা একাডেমি বাদ্য ও যন্ত্রসঙ্গীতকে রক্ষা ও মানসম্মত চর্চাসহ নতুন প্রজন্মকে আমাদের দেশীয় বাদ্যযন্ত্রে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম বারের মতো এমন আয়োজন করা হয়। এতে জেলার ২০ জন বাদ্যযন্ত্র শিল্পী অংশ নেন।
এদিকে, বাঙালি জাতির বাদ্যপ্রিয়তার গৌরবোজ্জল ইতিহাস ধরে রাখতে এ উৎসবের মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালির লুপ্তপ্রায় প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহের মাধ্যমে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের দাবি জানান মাগুরা জেলা আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠবীথির সভাপতি খান মাজাহারুল হক লিপু।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এনএস