ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাকিব হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সোলায়মান গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
সাকিব হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সোলায়মান গ্রেফতার

ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পিকআপ ড্রাইভার সাকিব (২০) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. সোলায়মান ওরফে সিয়ামকে (২০) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সোলায়মান ওরফে সিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানা এলাকার মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে।

এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র‍্যাব-২। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সোলায়মান।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কটেপ পেঁচানো অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি পিকআপ চালক সাকিবের বলে শনাক্ত করেন তার চাচা। এ ঘটনায় নিহত সাকিবের চাচা মো. জামাল (৩৭) অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-২৭/৬২২) দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে এ ঘটনায় র‍্যাব-২ ছায়া তদন্ত শুরু করে। আসামি গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরধারী বাড়ানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মিজানুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ ডিসেম্বর হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি মো. নাইমুল হোসেন ওরফে সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নাইমুল হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. সোলায়মান ওরফে সিয়ামকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা বিভিন্ন সময়ে বছিলা, মোহাম্মদপুর ও রায়ের বাজার এলাকায় চুরি ও ছিনতাই করতেন। তারা লোভে পড়ে অল্প সময়ে অধিক অর্থ আয়ের জন্য ট্রাক/পিকআপ ভাড়া করে সেই ট্রাই/পিকআপ ছিনতাই করে বিক্রির পরিকল্পনা করে ছিলেন। পরিকল্পনা মাফিক সাকিবের গাড়িটি তারা ভাড়া করেন। গন্তব্যে যাওয়ার একপর্যায়ে তারা কৌশলে সাকিবের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং কালো স্কটেপ দিয়ে তার মুখ ও মাথা পেঁচিয়ে ফেলেন। এতে দম বন্ধ হয়ে মারা যান সাকিব।

এরপর রাত ১২টার দিকে তারা সাকিবের মরদেহ নদীতে ফেলে দেন। হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তা।

গ্রেফতার আসামিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এসজেএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।