ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির আয়োজনে ওমরাহ যাত্রায় দ্বিতীয় কাফেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির আয়োজনে ওমরাহ যাত্রায় দ্বিতীয় কাফেলা বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির আয়োজনে ওমরাহ যাত্রায় দ্বিতীয় কাফেলা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: পবিত্র ভূমি সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন ১০৪ জন মুসল্লি। আর নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এই সুযোগ করে দিচ্ছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাজুস সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

সৌদি আরবের উদ্দেশে ওমরাহর দ্বিতীয় কাফেলা রওনা হচ্ছে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে বিকেলে দ্বিতীয় কাফেলার ৩৩ জন মুসল্লি নিয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির অফিসে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল।

অনুষ্ঠানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, এর আগে রমজানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর ১০০ জন সামর্থ্যহীন ব্যক্তিকে ওমরাহ করানোর ইচ্ছা পোষণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ জন ওমরাহর উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা করছেন।

তিনি বলেন, জানুয়ারির মধ্যেই সবাইকে পাঠানো হবে ওমরাহ পালনের জন্য। প্রথমে ১০০ জনের কথা থাকলেও মোট ১০৪ জন ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন। তারা সেখানে ১৪ দিন অবস্থান করবেন, ওমরাহ পালন করবেন এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখবেন।

দ্বিতীয় কাফেলার এই ৩৩ জন ওমরাহ যাত্রী সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবেন।

দোয়া আয়োজনে ওমরাহ যাত্রা উপলক্ষে সব ওমরাহ যাত্রীকে শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় সৌজন্য উপহার-সামগ্রী দেওয়া হয়। এর আগে তারা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাজুস সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। ওমরাহ পালনকালে এই ৩৩ জনের যাবতীয় ব্যয় বহন করা হবে সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে।

ওমরাহ পালনে সৌদি যাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. শহিদুল্লাহ বলেন, জীবনে কতবার প্রার্থনা করেছি নবীর দেশে যাওয়ার জন্য, কিন্তু ভাবিনি তা কখনো পূরণ হবে। আজ আল্লাহর রহমতে আর বসুন্ধরা গ্রুপের কারণে তা সম্ভব হলো। এই আনন্দ বলে বোঝানোর মতো না। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যারা এই আয়োজন করলেন, যিনি আমাকে ওমরাহ করতে পাঠালেন, তারা সবাই যেন ভালো থাকেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে খাদেম হিসেবে কাজ করছি। দেশে তো অনেক ধনী আছেন, কিন্তু আমি দীর্ঘ ৪০ বছরে কাউকে এমন উদ্যোগ নিতে দেখিনি। আমি আশা করব অন্যরাও এমন ভালো উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসবে।

ঘড়ির মেকার হাফেজ আব্দুল মোমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি হজে যাওয়ার জন্য, কিন্তু সামর্থ্য ছিল না। এরপর শুনলাম বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি পাঠানো হচ্ছে। তখন আবেদন করি এবং সুযোগ পাই। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমি দোয়া করি যেন এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার ভালো হয়।

মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী বলেন, অনেক যাচাই-বাছাই করে তবেই আমরা ১০৪ জনকে নির্বাচিত করেছি ওমরাহ করানোর জন্য। যারা সামর্থ্যহীন এবং আমাদের এখানে (বায়তুল মোকাররমে) নিয়মিত এবাদত-বন্দেগি করেন, আমরা তাদেরই প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আয়োজনের শেষ অংশে সব ওমরাহ যাত্রী, এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সবাই, বসুন্ধরা গ্রুপ, সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবারসহ দেশ ও দশের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুসল্লি কমিটির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম (মিন্টু), মো. সফি সরোয়ার লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন গাজী, যুব ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. জালাল সরকার, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাজমূল হুদা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ রহমান চৌধুরী মিজান, দপ্তর সম্পাদক আজাদ আহমেদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

গত ৪ ডিসেম্বর এই ১০৪ জনের মধ্যে প্রথম ২৬ জনকে ওমরাহ পালনে সৌদি পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এইচএমএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।