সাভার (ঢাকা): সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মহাসড়কসহ বিভিন্ন শাখা সড়ক বন্ধ করে মিছিল ও শোডাউন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সড়কের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে কয়েক হাজার নেতাকর্মী শোডাউনে অংশ নেওয়ায় সড়কের দুই পাশে ৬ কিলোমিটার তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এছাড়া ঘোষবাগ, জিরাবো, চিত্রশাইল, জামগড়া এলাকার বিভিন্ন শাখা সড়কে শোডাউনের কারণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
জামগড়া এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, বিকেলে হঠাৎ করে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে মিছিল ঢোকে আমাদের এলাকায়। এ সময় পুরো শাখা সড়কে পায়ে হেঁটে যাওয়ারও কোনো অবস্থা ছিল না। রিকশা-ভ্যানগুলোও কোনোমতে সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। সড়কে এত মানুষ নিয়ে মিছিল করার কী আছে? জনপ্রিয়তা থাকলে মানুষ তো ভোট দেবেই। এভাবে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার অর্থ কী?
টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যানজটে আটকে পড়া রাশেদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, নিশ্চিন্তপুর থেকে জামগড়া পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার সড়ক যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। পুরো সড়কজুড়ে হাজার হাজার মানুষের স্লোগান শুনে বুঝলাম কোনো রাজনৈতিক দলের মিছিল যাচ্ছে। এ সময় সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল।
ইয়ারপুর উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি তার।
নৌকার মিছিলে অংশ নেওয়া ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হালিম মৃধা বলেন, একবারে জামগড়া হইয়া ঘোষবাগ পর্যন্ত। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় মিছিল হয়েছে। হাজার দশেক নেতাকর্মী ছিল। সবাই তো এরকম করে ভাই। অন্য প্রার্থীরাও এরকম করেছে। সরকার মার্কেট থেকে জামগড়া পর্যন্ত রাস্তায় মিছিল হয়েছে। যানজট হওয়ার আগেই ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশ দিয়ে ঢুকে গেছি।
সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক আটকে মিছিল কিংবা শোডাউন আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। আমি বিষয়টা জানি না, দেখছি। ওসিকে জানাচ্ছি বিষয়টি।
প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালনের পর মারা যান সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভূইয়া। নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তার ছেলে ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমেদ ভূইয়া। আগামী ২৯ ডিসেম্বর এই ইউনিয়নের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মুসার সঙ্গে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এসএফ/এমজেএফ