ঢাকা: পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশ, ঢাকা আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরে আইজিপি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করা হতো পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এক সময় শোষণকারী পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে আজ বাংলাদেশ তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছি। ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ।
সংবর্ধিত পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে, পরিবারের মায়া ত্যাগ করে, চাকরির সুযোগ-সুবিধা উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করেছেন। আপনারা তখন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। আপনারা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকেও গৌরবান্বিত করেছেন। আমরা আপনাদের জন্য গর্বিত।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত আইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজমুল হক। অনুষ্ঠানে ঢাকা রেঞ্জ ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলার ২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আইজিপি তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
আরবি