ঢাকা: দেশে গরু, ছাগল, মহিষ ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৯ সালে দেশে মোট গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার; যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল দুই কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার।
ছাগলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার; ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার। মোরগ-মুরগি ও হাঁসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ তিন হাজার ও সাত কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার; ২০০৮ সালে ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার ও তিন কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কৃষি শুমারি-২০১৯’ জরিপ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে কৃষি শুমারি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
শুমারি কার্যক্রম প্রকল্প ভিত্তিক কার্যক্রম থেকে বের হয়ে নিয়মিত করার মতামত দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, শুমারি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা কেন নিয়মিত মানুষ দিয়ে হবে না? কেন এটা প্রকল্পের অধীনে সাময়িক লোক দিয়ে সমপন্ন হবে? কেন কাজ শেষে দক্ষ লোকদের অন্যত্র ব্যবহার করা হবে? নির্বাচন কমিশনের নিয়মিত লোক আছে, তাহলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর নিজস্ব লোক নয় কেন? এ বছর কৃষি শুমারি, দুই বছর পর অর্থনীতি—এভাবে একই লোক আমরা শুমারির কাজে লাগাতে পারি।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর কার্যক্রম নিয়ে উস্মা প্রকাশ করে এম এ মান্নান বলেন, যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হচ্ছে, যে সময় নষ্ট হচ্ছে, যে জনবল নিয়োজিত আছে আউপপুট সেভাবে আসছে না। এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
প্রতি ১০ বছর শুমারি হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আগেও হয়নি। হয় আগে হয়েছে, না হয় পরে হয়েছে। এটা অপ্রত্যাশিত। এ ধারা থেকে বের এসে নিয়মিত করার পরামর্শ দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূণ কাজ। এ থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। দেশে বিদেশে দেশের সক্ষমতা যাচাই করে। কিন্তু সে তথ্য আমরা নিয়মিত করতে পারছি না। ১০ বছর নয়, প্রয়োজনে পাঁচ বছরে এসব শুমারি করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
জেডএ/এমজেএফ