বাগেরহাট: সুন্দরবন দস্যুমুক্ত রাখতে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেছেন, ২০১৮ সালের পর থেকে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। হঠাৎ করে একটি নব্য বনদস্যু বাহিনী সুন্দরবনে জেলেদের ওপর হামলা ও মুক্তিপণ দাবি করেছে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সরকারি রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুল মাঠে আত্মসমর্পন করা বনদস্যু, জেলে ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, অনেক জেলে রয়েছেন, যাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে। যদি কেউ দস্যুতা কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সুন্দরবনে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য টহলে অতিরিক্ত দ্রুতগামী জলযান দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর ই আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৎস্য ব্যবসায়ী এম সাইফুল ইসলাম খোকন ও শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন।
মতবিনিময় সভায় সুন্দরবনের বনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু, সুন্দরবনের জেলে, মৎস্যজীবী, মাছ ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অনেকেই অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু, জেলে ও বনজীবীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এসআইএস