রংপুর: রংপুরে ঘন কুয়াশার পাশাপাশি তীব্র শীত পড়ছে। রাতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি এখানে। গত কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। এতে রংপুরের পীরগাছা, কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ চরাঞ্চলের দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাঁশি ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পীরগাছা উপজেলার শিবদেব চরের কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চলছে।
চর গাবুড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান বলেন, কয়েকদিনের শীতে কাজকাম ঠিক মতো করা যাচ্ছেনা। ঘরে গরম কাপড় কেনার মতো টাকাও নেই। হামার মতো গরীব মানুষ খুব বিপদে আছে।
গঙ্গাচড়ার নোহালীর চরের সাদেকুল ইসলাম বলেন, বেয়ান থাকি জারত মোর হাতগুলা কোকরা নাগি গেইছে। জারত খুব কষ্ট হয়।
পীরগাছা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, পীরগাছায় ৯টি ইউনিয়নে ৪৯০টি করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানরা এসব কম্বল বিতরণ করছেন।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যাক্রমে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা প্রায় একই থাকলেও রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
জেডএ