পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের জগতলা গ্রামে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে মাতাল হয়ে মেয়েদের সঙ্গে নাচতে চেয়েছিলেন স্থানীয় দুই যুবলীগ নেতা। আর সেটা না করতে দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে খ্রিস্টান পল্লীতে হামলা করেন তারা।
এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা যুবলীগ ।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন, মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জগতলা গ্রামের নুর সালামের ছেলে রবিউল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য একই গ্রামের মৃত. নূরুজ্জামানের ছেলে আমির হোসেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম জানান, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে সংগঠনের বদনাম হয় এমন কর্মকাণ্ড যেই করুক পার পাবে না।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই হামলার ঘটনায় এই দুই যুবলীগ নেতাকে আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ভুক্তোভোগী পরিবারের সদস্য সুব্রত গমেজ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে আসামিদের এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে দুইজনকে আসামি করে মামলা করেছেন সুব্রত গমেজ। বুধবার বিকেল পর্যন্ত তাদের আটক করা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, গত বড়দিনে (২৫ ডিসেম্বর) রাতে জগতলা গ্রামের মৃত সুবল গমেজের ছেলে সনি গমেজের বিয়ের অনুষ্ঠানে তার বাড়ির মেয়ে সদস্যরা নাচ গান করছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে নাচতে চান নেশাগ্রস্ত যুবলীগ নেতা আমির হোসেন। এতে তাকে নিষেধ করা হলে সনি গমেজের চাচা সুব্রত গমেজকে মারধোর করে আমির হোসেন ও তার সহযোগীরা। পরের দিন সকালে আবারও তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও নিকট আত্মীয়কে মারধোর করেন আমির, রবিউল ও তাদের সহযোগীরা।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশি প্রহরায় বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতে যুবলীগের ওই দুই নেতাকে আসামি করে মামলা করেন সুব্রত গমেজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এসএএইচ