ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শীতে বাড়ছে শিশু রোগী, সুস্থ হওয়ার আগেই ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
শীতে বাড়ছে শিশু রোগী, সুস্থ হওয়ার আগেই ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে দেখা দিয়েছে নানা রোগের প্রকোপ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু রোগীরা।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্র।

এদিকে, হাসপাতালে বেড সংখ্যা সীমিত থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে অধিকাংশ শিশু। অপরদিকে, সুস্থ না হওয়ার আগেই শিশুদের ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

পঞ্চগড়ের জগদল এলাকা থেকে ছেলেকে নিয়ে আসা আমিনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ছেলে হঠাৎ শীতজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে হাসপাতালে বেড না থাকায় বারান্দায় খুব কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে।

পঞ্চগড়ের ময়দানদিঘী এলাকার মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছেলে। বুধবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মাঝে চিকিৎসক একবার দেখে গেছেন। কিন্তু একদিন পরেই তারা ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছেন। আমার ছেলে এখনও সুস্থ হয় নি।

ইয়াসমিন নামে আরেক নারী বাংলানিউজকে বলেন,  চিকিৎসা সেবা ঠিকই দিচ্ছে। কিন্তু ডাক্তার যেসব ওষুধ লিখে দিলেও হাসপাতাল থেকে তা দিচ্ছে না। সব ঔষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে হচ্ছে। এখন ছেলে সুস্থ না হতেই চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা বলছেন, প্রতিদিনই শীতজনিত রোগে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু রোগী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে যেসব রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে, তাদের মধ্যে বেশি আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মাহবুবা তাজমুন বাংলানিউজকে বলেন, গত দুদিন ধরে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে বেড সংখ্যা কম থাকায় বাড়তি রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মো. মনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দিনের থেকে রাতের শীতের তীব্রতা বেশি থাকায়, এ সময়ে শিশুরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে তাদের ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত প্রায় ৫০ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।