ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

জয়ন্ত জোয়ার্দ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
মাগুরায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

মাগুরা: শীতের দিনে অন্যতম একটি আকর্ষণ থাকে খেজুরের রস। মাগুরা সদর উপজেলার পাটকেল বাড়ি এলাকায় এই রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।

আগের দিন খেজুর গাছের ওপরের দিকে চিরে একটি বাশের তৈরি নলি লাগানো হয়। সেটির সঙ্গে মাটির হাড়ি বেঁধে দেওয়া হয় রস একত্রিত করার জন্য। আর পরের দিন ভোর থেকে শুরু হয় রস সংগ্রহ।

শীত এলেই চাহিদা বাড়ে খেজুর গুড় ও পাটালির। এ সময় রসের অনেক চাহিদা থাকলেও লোকবলের অভাবে অধিকাংশ গাছে হাড়ি বসানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গাছিরা। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী রসের জোগান দিতে পারছেন না তারা।

পাটকেল বাড়ি গ্রামের গাছি শাহিনুর হোসেন বলেন, এ বছর ২০০ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন তিনি। সেগুলোর বাজার মূল্য ভালো পাচ্ছেন তিনি। তবে মাগুরায় খেজুরের গুড়ের কোনো বাজার না থাকায় উৎপাদিত রস ও গুড় বিক্রি করা যাচ্ছে না। এ মৌসুমে ভালো মানের গুড় ও পাটালি তৈরি করা যায়। এক হাড়ি রস ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, গুড় ও পাটালি ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর দুই থেকে আড়াই লাখ ঢাকার রস ও গুড় বিক্রির আশা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রব্বানি বিশ্বাস নামে আরেক গাছি বলেন, খেজুরের রস দিয়ে অনেক খাবার তৈরি করা হয়। এখন আর আগের মতো তেমন গাছ নেই। এ বছর ১০০টি খেজুর গাছ কেটেছি। ভালো দামও পাচ্ছি। কিন্তু চাহিদা মতো যোগান দিতে পারছি না। অনেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খেুজর রস নিতে আসেন। রস ও পাটালি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলায় খেজুর গুড় ও পাটালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই তুলানায় গাছিরা চাহিদা মতো রস ও গুড় পাটালি যোগান দিতে পারছে না। অধিকাংশ খেজুর গাছ অকেজো ভেবে ইট ভাটায় পুলিয়ে ফেলছেন গাছ মালিকরা। এতে নতুন প্রজন্মের মানুষ ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড়ের পিঠার স্বাধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জেলা কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, জেলায় খেজুরের রস ও পাটালির চাহিদা অনেক। এ মৌসুমে গাছিরা রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানে খেজুরের গাছ রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ। তবে মাগুরায় খেজুরের রসের ভালো কোনো বাজার না থাকায় গাছিরা রস সংগ্রহের পর তা বিক্রি করতে পারছেন না। অনেকেই গুড় বানিয়ে সেগুলো বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। খেজুরের গুড়ে যাতে ভেজাল না দেওয়া হয় সে জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।