ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে রোদ ঝলমলে দিন

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
মাদারীপুরে রোদ ঝলমলে দিন রোদে খেলাধুলায় মেতে উঠেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

মাদারীপুর: টানা ছয়দিনের বৈরী ভাব কেটে গিয়ে সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঝলমল করে উঠেছে রোদ! রোদের কাছে হার মেনে বিদায় নিচ্ছে কুয়াশা। একই সঙ্গে গত কয়েকদিনের জবুথবু শীতও কমেছে।

সকালে কুয়াশা ভেদ করে পূব আকাশ থেকে সূর্যরশ্মি এসে হাজির হয় প্রকৃতিতে। ঝলমলে রোদে শীতের বিষন্নতা কাটিয়ে কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ।  

টানা ছয়দিন এক প্রকার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি মাদারীপুরে। রোববার দুপুরের পর রোদ উঠলেও তেজ ছিল ম্রিয়মাণ। তবে সোমবার সকাল থেকেই তেজদীপ্ত রোদে প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সাধারণ মানুষও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে জড়তা কাটিয়ে। গত কয়েকদিনের জমে থাকা কাজেও গতি এসেছে যেন।  

এদিকে জেলার সড়ক-মহাসড়কেও যানবাহন চালকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যতা বিরাজ করছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে সড়কে সাধারণ যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি দেখা যাচ্ছে বলে তারা জানান। এছাড়া খেটে খাওয়া মানুষেরাও মাঠে ঘাটে কাজে নেমে পড়েছে। ফসলের ক্ষেতে সকাল থেকেই কৃষকেরা পরিচর্যায় নেমেছে।  

স্থানীয় কৃষক মো. লিটন বলেন, শীতের কারণে গত কয়েকদিন ক্ষেতে যাওয়া ছিল কষ্টকর। কেউ কাজে নামতেও রাজি হয়নি। আজ সকাল থেকেই বেশ রোদ। আশা করি সারাদিন রোদ থাকবে। ক্ষেত নিড়ানির জন্য আজ লোক লাগিয়েছি।

অপর কৃষক মো. আলমাস বলেন, সকালেই ক্ষেত থেকে ফুলকপি তুলে বাজারে পাঠিয়েছি। গত কয়েকদিন শীতের কারণে কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহে ফসলেরও ক্ষতি হয়।

এদিকে সকালে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েরা স্বতঃস্ফুর্ত হয়ে খেলাধুলা করছে। শীতকালীন খেলাধুলার অংশ হিসেবে রোদে খেলাধুলার অনুশীলন করছে তারা। প্রায় এক সপ্তাহ পর ঝলমলে রোদ পেয়ে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাতেও যেন প্রাণসঞ্চার হয়েছে।

মো. মোতালেব মিয়া নামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, শীতে একদিন বেশ দুর্ভোগ গেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ছিল জড়তা। আজ রোদ পেয়ে সব কিছু যেন উৎফুল্ল মনে হচ্ছে। অনেকই রোদ পোহাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের পাঁচ্চর, সূর্যনগরসহ বিভিন্ন স্ট্যান্ডের ইজিবাইক চালকেরা জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সড়কে সাধারণ যাত্রীদের বেশি দেখা যাচ্ছে। কুয়াশা না থাকা এবং শীত কমে হওয়ায় স্বাভাবিক কাজ বেড়েছে। যাত্রীরা বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। সড়কে ব্যস্ততা বেড়েছে। গাড়ির সংখ্যাও বেশি দেখা যাচ্ছে।

শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্র জানায়, কুয়াশাভাব কেটে যাওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ে এবং সংযোগ সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। সড়কে যাত্রীদের সংখ্যাও বেশি রয়েছে গত কয়েকদিনের চেয়ে। এবং আমাদের টিম মহাসড়কের বেশ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন।

টানা শৈত্যপ্রবাহ কেটে সোমবার সকালে রোদ উঠলে প্রকৃতিতে এক অন্যরকম আমেজ ফিরে আসে। এক ধরনের জড়তা যেন কেটে গিয়ে ফিরে এসেছে চঞ্চলতা। মানুষের মনেও এর প্রভাব রয়েছে। ফুরফুরে মনে দৈনন্দিন কাজে পূর্ণ মনোযোগ এসেছে বলে জানান সাধারণ মানুষেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।