ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রংপুর অঞ্চলে স্বস্তির রোদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
রংপুর অঞ্চলে স্বস্তির রোদ রোদ পোহাচ্ছেন এক বৃদ্ধ -বাংলানিউজ

রংপুর: রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় স্থবির জনজীবনে স্বস্তির রোদ দেখা দিয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রংপুর ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে ঝলমলে রোদ দেখা গেছে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে রংপুর অঞ্চলে রোদের দেখা মিলছিল না। সেই সঙ্গে বইছিল হিমেল বাতাস। কোন কোনদিন দুপুরের পর ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও রোদের তাপ ছিল না। সেই দৃশ্য পাল্টিয়ে আজ (সোমবার) সকাল থেকে পূব আকাশে ঝলমলে সূর্য দেখা দেয়।

রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সোমবার সকালে রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে, রোদ উঠলেও রোববার থেকে তাপমাত্রা কমেছে। যদিও একটানা কয়েক দিনের কুয়াশা কেটে গিয়ে আজ আকাশে ঝলমলে রোদ উঠেছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে রোদ পোহাচ্ছেন অনেকে। অনেক দিন পর এমন প্রাকৃতিক উষ্ণতায় স্বস্তি ফিরে এসেছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, খেটা খাওয়া মানুষসহ সব শ্রেণি–পেশার মানুষের মাঝে। সকাল সকাল মাঠে কাজ করতে গেছেন শ্রমজীবীরা।

দুপুরে পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কান্দির বাজারের দোকানি ষাটোর্ধ শাহ মিয়াকে রোদের উষ্ণতা নিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, গত ১৫/২০ দিন ধরে চলা ঠাণ্ডায় মনে হচ্ছিল জীবনটা যায় যায়। ঠাণ্ডায় কিছুই করতে পারিনি। ব্যবসা-বাণিজ্যও ভাল চলছে না। শীতের কারণে লোকজন হাটবাজারে কম আসছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা গরীর মানুষ, কিন্ত এখন পর্যন্ত এ ঠাণ্ডায় কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেক কষ্টে আছি।

আরেক বৃদ্ধ প্রশন্ত কুমার মিশ্র বলেন, এ রকম ঠাণ্ডা থাকলে বেঁচে থাকা আর সম্ভব হবে না। রোদ না থাকায় ময়লা কাপড় চোপড় ব্যবহার করছি। এ কারণে শরীরে চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। আজ রোদ ওঠায় বাড়ির লোকজন কিছু কাপড় পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছে।

আজিজুল হক নামে একজন দিনমজুর বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে একদিনও কাজে যাতে পারিনি। অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। ঠাণ্ডার মধ্যে কষ্ট করে বাইরে বের হলেও কাজ ছিল না। আজ সকালের রোদ দেখে কাজে যোগ দিয়েছি। দিনটি ভালই যাচ্ছে। রোদ থাকায় কোনো কষ্ট লাগছে না।

এদিকে সোমবার সকাল থেকে রংপুর নগরীর ধাপ, শাপলা চত্বর, কেরানীপাড়া চারমাথা মোড়, শিমুলবাগ, বেতপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রম বেচাকেনার স্থানে শ্রমজীবী মানুষের উপস্থিতিও কয়েক গুণ বেড়েছে। কাজের সন্ধানে ছুটে আসা লোকেরা জানান, ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে কাজ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে কয়েক দিন ধরে শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম ছিল। কিন্ত আজ রোদ উঠায় শীত কিছুটা কমেছে ও স্বস্থি ফিরেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।