ঢাকা: অবসরের পর প্রধান বিচারপতিরা তাদের জীবদ্দশায় বিভিন্ন কাজ নির্বাহে প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
১৯৮২ সালে সামরিক আমলে অধ্যাদেশ দিয়ে এ সংক্রান্ত আইন করা হয়। এখন সেটি বাতিল করে বাংলায় নতুন এই আইন করা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, অবসরের পর প্রধান বিচারপতি তার জীবদ্দশায় গৃহ সহায়ক, গাড়িচালক, দারোয়ান সেবা, সাচিবিক সহায়তা এবং অফিস কাম বাসভবন রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন। একজন বিচারককে তার মোট কর্মকালীন ছুটির শর্ত অনুযায়ী অর্ধ গড় বেতনে মোট ৩৬ মাসের অধিক ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না। কোনো বিচারকের প্রকৃত কর্মকালের এক-চব্বিশাংশ ভাগ মেয়াদ পর্যন্ত তাকে পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাবে। পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি এককালীন পাঁচ মাস এবং অন্য কোনো ছুটি এককালীন ১৬ মাসের অধিক মঞ্জুর করা যাবে না। কোনো বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে তার নির্ধারিত মাসিক বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হবেন।
এছাড়া কোনো বিচারক অনভিপ্রেত কোনো আঘাতের দ্বারা বা কারণে অথবা স্বীয় দায়িত্ব পালনকালে আহত হয়ে কর্মে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রাপ্য হবেন।
বিলে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি বিচারকদের পেনশন ও আনুতোষিক মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হবেন। অবসরে যাওয়া বিচারকরা উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ভাতা পাবেন।
এ আইনটির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি অর্থ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। বিচারক অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং প্রধান বিচারপতি ও অতিরিক্ত বিচারকরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এসকে/এমএমজেড