ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইসরায়েলকে উস্কানিমূলক কাজ ত্যাগের আহ্বান বাংলাদেশের

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
ইসরায়েলকে উস্কানিমূলক কাজ ত্যাগের আহ্বান বাংলাদেশের ওআইসির জরুরি বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

ঢাকা: দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ও আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টকারী যে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি সার্বভৌম ও কার্যকর রাষ্ট্রের জন্য ফিলিস্তিনের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার আদায়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সম্প্রতি জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে সংঘটিত ইসরাইলের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা- ওআইসির নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনা, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপ অনুযায়ী ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্যাপক ও টেকসই সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থান অব্যাহত রেখেছে। জেদ্দায় ও আইসির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। ২০২২ সালে ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে- যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি ইসরাইলে নতুন সরকার গঠনের পরপরই জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বেন গভির পবিত্র আল আকসা মসজিদ পরিদর্শন করেছেন, যা অত্যন্ত উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার তা জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও দূরে ঠেলে দেবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতায় দখলদার বাহিনী ইসরাইলের নৃশংসতা এবং আগ্রাসন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েই চলেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নতুন বৈশ্বিক সংকট এবং সংঘাত অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের গুরুতর পরিস্থিতি থেকে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনোযোগ যাতে সরিয়ে না নেয় সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের অধিবাসীরা একসময় নির্যাতিত ইহুদিদের আশ্রয় দিয়েছিল, আর সেই ইহুদিরাই এখন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি, পরিবার এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রত্যাশা ধ্বংস করছে। ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ওআইসিকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

সভার শুরুতে ওআইসি মহাসচিব ও ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিষয়ে সভাকে অবহিত করেন। পরে উন্মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ ছাড়াও জর্ডান, তুরস্ক, মরোক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, মিশর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়াসহ অন্যান্য দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন। সভা শেষে ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জ্ঞাপন ও তা বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি অনুমোদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
টিআর্/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।