ঠাকুরগাঁও: জন্মের পর থেকে আচরণ ঠাণ্ডা মেজাজ ছিল সুজয় পালের। তা তো সোহাগ করে দাদি তাকে ঠাণ্ডি বলে থাকত।
অভাবের সংসারে জন্ম তার। বাবার দিন আনে দিন খাওয়াতে চলে সংসারের ভরণপোষণ। তার মধ্যে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও কাজে আসছেন না তার। বাড়ির গরু বিক্রি করে সুজয়কে নিয়ে যাওয়া হয় বিভাগীয় শহরে চিকিৎসকের কাছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে খানিকটা সুস্থ হয়ে বাসায় নিয়ে আসা হয় সুজয়কে। কিছুদিন যেতে না যেতে আবার অসুস্থতা দেখা দেয় তার। ধার দেনা করে কোনোভাবে টাকা সংগ্রহ করে আবার নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে।
তবে বিধিবাম। সুস্থ হয়ে উঠছে না সুজয় পাল। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। দেশে চিকিৎসা করাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পরিবারকে।
ক্রমশ প্রস্রাবের সাথে রক্ত ও শরীর শুকানোর সমস্যায় বাড়ছে জটিলতা। অপরদিকে অর্থ যোগাড় করে ছেলেকে বিদেশে নিয়ে যেতে দিশেহারা পরিবার। অর্থ যোগান দিতে ছুটছেন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক নেতাসহ বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের সুবাস পাল ও রুপালী রানি দম্পতির ছোট সন্তান সুজয়। পেশায় কাঠমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেন সুবাস পাল। ছেলেকে সুস্থ করাতে চিকিৎসার অর্থের যোগান দিতে ছুটছেন তিনি। প্রতিনিয়ত মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটলেও পাচ্ছেন না তেমন অর্থ। তবে স্বপ্ন দেখছেন বিত্তবানরা এগিয়ে এলে সুস্থ হয়ে ফিরবে প্রিয় সন্তান সুজয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্ম্মন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা হয়েছে। আমরা আরো সহযোগিতা করার জন্য চেষ্টা করছি। আপনারাও এগিয়ে আসুন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আসলে বেদনাদায়ক। সুজয়ের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা হবে। বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।
সাহায্য পাঠাতে পারেনঃ
সুবাস পাল, পালপাড়া, সদর ঠাকুরগাঁও। মোবাইলঃ- +8801784078429
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এএটি