ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্র্যাকের ‘হোপ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
ব্র্যাকের ‘হোপ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাকের কর্মকর্তারা। ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: দেশে মানুষের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করার জন্য জন্ম হয়েছিল ব্র্যাকের। ২০২২ সালের ২১ মার্চ ৫০ বছর পূর্ণ করেছে ব্র্যাক।

ব্র্যাকের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের ধারাবাহিকতায় সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত তিন দিনের এক উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্র্যাক।

বাংলাদেশের হৃদয় হতে, সারা বিশ্বজুড়ে আশা জাগানোর ৫০ বছরের পথচলা আর বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ়তা, সাহস ও এগিয়ে যাওয়ার শক্তিকে উদযাপন করতে অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব। আগামী ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁতে হোপ ফেস্টিভ্যাল নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা আবেদ, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম ও বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।

সংবাদ সম্মেলনে আসিফ সালেহ্ বলেন, মানুষের যে জয়, আমরা এই ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে তা তুলে ধরতে চাই। পাশাপাশি তরুণ সম্প্রদায়কে নিয়ে নতুন পরিবর্তনে সব মানুষ এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তামারা আবেদ বলেন, ৫০ বছর ধরে আমরা যে কাজ করেছি, এগুলো মানুষের মধ্যে তুলে ধরতে চাই। আজকে দেশের পরিবর্তনের মাধ্যমে যে উন্নয়ন, পরিবর্তনের দাবিদার এদেশের মানুষ। এখন এ দেশকে আরও এগিয়ে নিতে, মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের আরও কী কী করণীয়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য শিক্ষা, আর্থিক ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো জনগুরুত্ব বিষয়গুলো এবং এ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। বিশেষত তরুণ সমাজকে সামগ্রিকভাবে দেশের ও নিজ নিজ এলাকার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে উৎসাহ জোগাতে চায় ব্র্যাক। আর এ উৎসব হবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

উৎসবে দর্শকদের জন্য থাকছে আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকজ সংস্কৃতির সম্মিলন, পুঁথিপাঠ, গল্পপাঠের আসর, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, শিশুদের খেলার জগত, সারা দিনব্যাপী নানা প্রদর্শনী। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক আয়োজন। থাকছে গহনা বানানো, কারিগর ও কার্টুনিস্টদের সঙ্গে আনন্দদায়ক কর্মশালায় যোগ দেওয়ার সুযোগ।

উৎসবে সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। থাকছে প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো, অনুষ্ঠান পরিক্রমা, প্রতিবন্ধী মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম 'সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার সুযোগ।

ইতিবাচক সামাজিক উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ইয়াং চেঞ্জমেকার্স অ্যাওয়ার্ড’র মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হবে তরুণদের। এ সম্মাননা তৃণমূল থেকে তুলে আনবে সামাজিক উদ্যোক্তাদের। এছাড়াও থাকছে কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ সম্মাননা TAAGA Outstanding Young Professionals Award. তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেবেন ফজলুর রহমান বাবু, নগরবাউল জেমস, অর্ণব, ওয়ারফেইজ, লালন, নেমেসিস এবং আর্টসেলের মতো জনপ্রিয় ব্যান্ড।

এ উৎসব আয়োজনে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও ইউনিভার্সিটি।

https://brachopefestival.net/ এই ওয়েবসাইটের লিংকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা কোনো প্রবেশমূল্য ছাড়াই উৎসবে অংশ নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ