ময়মনসিংহ: কিশোর হত্যার ঘটনায় টানা ১০ বছর পালিয়ে থাকার পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খোরশেদ আলম (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
আটক খোরশেদ আলম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কেয়ারছানা গ্রামের মো. সেকান্দর আলীর ছেলে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সিলেট শাহপরান এলাকা থেকে খোরশেদ আলমকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-১৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় জানান, ২০১২ সালে খোরশেদ আলম মানিকগঞ্জ সদর এলাকার খোলা গ্রামে সবুজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তির পোলট্রি খামারে কাজ করতেন। তখন ওই গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রীর সঙ্গে খোরশেদ আলমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্ক এক পর্যায়ে জেনে যায় আব্দুল হকের কিশোর ছেলে জাকির।
পরে ঘটনাটি আড়াল করতে ওই বছরের ৩ মার্চ জাকিরকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় খোরশেদ।
এ ঘটনার পরদিন জাকিরের বাবা আব্দুল হক বাদী হয়ে খোরশেদ আলমকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসামি খোরশেদ আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, হত্যার পর দীর্ঘ ১০ বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল খোরশেদ আলম।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের পর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
জেএইচ