ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রয়াত অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী খুব পরোপকারী মানুষ ছিলেন। অন্যের উপকার করতে পারলে খুশি হতেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, শিবলীর মনটা ছিল অনুসন্ধিৎসু। ছোট বোনের স্বামী হলেও তিনি ছিলেন আমার সহকর্মী ও বন্ধুর মতো। শিবলী একজন পরিপূর্ণ ও সফল মানুষ ছিলেন। তিনি যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অসুস্থ ছিলেন তখনও অন্যের উপকারের জন্য চিন্তা করতেন। সব সময় হাসি মুখে থাকতেন। তার মতো মানবোপকারী মানুষকে হারানো আমাদের পরিবার ও দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আতফুল হাই শিবলীর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন- বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীর সহধর্মিণী নাজিয়া শিবলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা খাতুন এবং আতফুল হাই শিবলীর সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীর স্মৃতিচারণ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তিনি শিক্ষক হিসেবে, গবেষক হিসেবে, প্রশাসক হিসেবে নীতির প্রশ্নে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মানুষকে তিনি সহজেই আপন করে নিতেন। আতফুল হাই শিবলীর প্রচারবিমুখতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা সবার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রকাশিত আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। অনুষ্ঠানের শেষাংশে প্রয়াত আতফুল হাই শিবলীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
টিআর/আরবি