ঢাকা: নাইজেরিয়ার যোগাযোগ ও ডিজিটাল অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক ইসা আলী ইব্রাহিম পান্তামি জানিয়েছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের অস্থায়ী সদস্য পদের প্রার্থিতায় বিবেচনা করবে নাইজেরিয়া। এছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী দেশটি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন নাইজেরিয়ার যোগাযোগ ও ডিজিটাল অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক ইসা আলী ইব্রাহিম পান্তামি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাইজেরিয়ার মন্ত্রী ইসা আলী ইব্রাহিম পান্তামি জানান, নাইজেরিয়া আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ। আফ্রিকার ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র নাইজেরিয়া। সে কারণে আমরা বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে নাইজেরিয়ার ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করছি। একইভাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদেরও নাইজেরিয়ায় বাণিজ্যের সুযোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।
ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমরা কয়েকটি ব্যাপারে বেশ পজিটিভ আলোচনা করেছি। যেমন দু'দেশের বিজনেস টু বিজনেসে যারা আছেন, তাদের একটি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা, একটা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা যায় কিনা সেটা দেখা, আমাদের বিনিয়োগকারীরা সে দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, নাইজেরিয়ার বিপুল পরিমাণ জমি আছে, সেখানে কৃষিখাতে আমরা বিনিয়োগ করতে পারি, ওরাতো তেলসমৃদ্ধ দেশ, সেদিক থেকে কথা হয়েছে। ওরা আগ্রহী আমাদের যে ১০০ অর্থনৈতিক জোন আছে, সেখানেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়, তারা এ ব্যাপারটি স্টাডি করতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুদেশেরই বেশ ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। অনেকগুলো বিষয়ে আমাদের মিল আছে, মুসলিম মেজরিটি দেশ, আমাদের আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন সময়ে তারা আমাদের সমর্থন দেয়। আমরা অনুরোধ করেছি, ২০২৬ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমাদের মেম্বারশিপের ব্যাপার রয়েছে, সেটাতে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। তারা বলেছে কনসিডার করবে। সব মিলিয়ে বৈঠকে বেশ ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, নাইজেরিয়ার কাছ থেকে মূলত আমরা তেল-গ্যাস আনি, সেদেশ থেকে আমরা ৬০০ মিলিয়ন ডলারের আমদানি করি। আমাদের দিক থেকে কিছু যায়। ওখান থেকে খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে মশলাটা কিছু আসে, এ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ভলিউমটাকে কীভাবে বাড়ানো যায়। আমাদের থেকেও বেশি জনসংখ্যা ওদের। অর্থনৈতিকভাবেও তারা ভালো আছে, সে কারণে রপ্তানির জন্য ভালো গন্তব্য হতে পারে আমাদের জন্য। তৈরি পোশাক বা অন্য কিছুও হতে পারে।
এক প্রশ্নের জাবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে আমরা অবস্থা সম্পর্কে খুব সচেতন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনার জন্য এলসির ব্যাপারে আমরা ফলোআপ করেছি, টাস্কফোর্সের মিটিং হয়েছে, ঘাবড়ানোর মতো কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
টিআর/আরআইএস