ঢাকা: চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বর্তমানে দেশে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সোমবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
তার মধ্যে আমদানিসহ গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪১৮ মেগাওয়াট।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াটের মধ্যে সরকারি খাতে ১০ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট, যৌথ উদ্যোগে এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট, বেসরকারি খাতে নয় হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট ও আমদানি এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট।
এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট (১৬ এপ্রিল ২০২২)। বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: ‘মজুদ গ্যাসে ১১ বছর চাহিদা মেটানো যাবে’
বাংলাদেশ সময় ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসকে/এসআইএ