ঢাকা: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদনাই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম রাষ্ট্র থাইল্যান্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কূটনৈতিক নোট দেয়।
থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, দুই দেশের জনগণের মাঝে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষত পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রো রেল, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় প্রকল্পে থাইল্যান্ডের কারিগরি সহায়তার জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত। উপস্থিত সবাইকে এ আয়োজনে অংশ নেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধান অতিথি থাই উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদনাই তাদের বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশকে থাইল্যান্ডের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-থাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তারা।
দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সফল নেতৃত্বের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে থাই সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, জামদানি ও খাদি কাপড়ের ওপর বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনার শৈবাল সাহার পরিকল্পনায় একটি টেক্সটাইল শো পরিবেশিত হয়। এতে ব্যাংককের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে থাই পররাষ্ট্র সচিব, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, থাই রয়াল পুলিশসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ব্যাংককে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ দেড় শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
টিআর/আরএইচ