ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমানকে বহিষ্কার হরা হয়েছে।  

রোববার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

 

রাতেই বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. ইমরান হোসেন।  

তিনি জানান, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যরা অনাস্থা দিয়েছেন। তদন্তে তা প্রমাণিত হওয়ায় অনাস্থাপ্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান ২০২১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

অভিযোগ, গত ৩১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও পরিষদের সদস্যদের (মেম্বার) সঙ্গে অসদাচরণ করে আসছেন ওয়াহিদুর রহমান। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি পরিষদে কোনো সভা করেননি। ইতোমধ্যে এলজিএসপি-৩, পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর, কাবিখা, কাবিটা) অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দসহ বিভিন্ন বরাদ্দে ইউপি সদস্যদের অন্তভুক্ত না করে এবং কোনো সভা না করে প্রকল্পে মেম্বারদের নাম ব্যবহার করে ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ওয়াহিদুর রহমান।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরের অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ৮২ জন শ্রমিকের অনুকূলে ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রকৃত শ্রমিকদের নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট না খুলে নামে-বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে সে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।  

একই অর্থ বছরের টিআর, কবিখা, কাবিটা বরাদ্দের দুই কিস্তির ১০ লাখ টাকা নামমাত্র প্রকল্পে ব্যয় দেখিয়েছেন। কোনো ধরনের সভা ছাড়াই চেয়ারম্যান অবৈধ সুবিধা নিতে এডিপি খাতের ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রকল্প তালিকা দাখিল করেন। এছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন।  

এসব ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মাইন উদ্দিন ময়ুরের স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থাপত্র জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে জমা দেওয়া হয়। এতে ১২ জন সদস্যদের মধ্যে ১০ জন সদস্য চেয়ারম্যানের নামে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনেন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের চেয়ারম্যানের নামে অনিয়মের অভিযোগপত্র জমা দেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। এ নিয়ে আদালতে শরণাপন্ন হব।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।