ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিপাহ ভাইরাসে এবার শিশুর মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
নিপাহ ভাইরাসে এবার শিশুর মৃত্যু ফাইল ছবি

রাজশাহী: নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবার এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাধারণ ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হল। এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছিল।

মারা যাওয়া ওই শিশুর নাম মো. সোয়াদ (৭)। সে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সানোয়ার হোসেনের ছেলে। এ নিয়ে বছরের শুরুতেই নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হল।

দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের প্রধান ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে বাড়ির সবার সঙ্গে খেজুরের কাঁচা রস পান করে সোয়াদ। এরপর জ্বর ও খিঁচুনি শুরু হয়। এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে যায় শিশুটি। শুক্রবার বিকেলেই তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা নিপাহ ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রোববার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এতে শনাক্ত হয় যে, সে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত। আর এ কারণেই ওই শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। এরপর আজ সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু সোয়াদ।

এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়। ওই নারী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।