ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাবিতে প্রাণবন্ত সরস্বতী পূজা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
ঢাবিতে প্রাণবন্ত সরস্বতী পূজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: করোনা প্রতিবন্ধকতায় গত দু’বছর সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হয় সরস্বতী পূজা। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে একহাতে বীণা ও অন্য হাতে পুস্তক, চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বাণী অর্চনা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদ্যা, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতীকে পূজা করছেন ভক্তরা।

 

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়।

এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় বাণী অর্চনা এবং সাড়ে ৮টার দিকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ বছর সরস্বতী পূজায় প্রায় ৭০টির বেশি প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে জগন্নাথ হলের খেলার মাঠে। এছাড়াও রোকেয়া হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, শামসুন্নাহার হলসহ মেয়েদের হল গুলোতেও আলাদাভাবে বীণাপাণির আরাধনার আয়োজন করা হয়েছে‌।  

মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক দেবী সরস্বতী আসেন জগতে। এ দিনে ন্যায় ও বিদ্যা দেবীর আরাধনায় মগ্ন হয়ে উঠেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।  

ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িকর অনন্য নিদর্শন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলের আয়োজিত এ সরস্বতী পূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ পূজা হয়ে উঠেছে সম্প্রীতির এক অতুলনীয় সার্বজনীন মেলবন্ধন। শিক্ষা, ন্যায় ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জগন্নাথ হলের আয়োজিত এ সরস্বতী পূজা। জ্ঞানের দেবীর আরাধনার পাশাপাশি সবার সাফল্য কামনায় যেন উৎসবমূখর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ঢাবি হলের পূজামণ্ডপ।  

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পূজায় অংশ নিতে এসেছেন জগন্নাথ হলে। প্রায় দুই বছর পর আবারও পুরোনো আঙ্গিকে পূজা উদযাপিত হওয়ায় সবার মধ্যেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সহকারে পূজা দেখতে ও পূজা করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
 
রাজধানীর মগবাজার থেকে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পূজা উদযাপন করতে এসেছেন ভূপতি রঞ্জন পাল। প্রতিবছর প্রথম প্রহরেই পরিবারকে নিয়ে চলে আসেন জগন্নাথ হলের পূজা মণ্ডপে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয় এত সুন্দর করে, এত আয়োজন দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশে সরস্বতী পূজা উদযাপন হয় বলে আমার মনে হয় না। আজকে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে এসেছি বিদ্যা দেবীর আরাধনা করতে ও সবার মঙ্গল কামনা করতে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সজীব কুমার বাংলানিউজকে বলেন, জগন্নাথ হলের এ সরস্বতী পূজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। মানুষে মানুষে অসাধারণ এক মেলবন্ধনের অনন্য উদাহরণ এ সরস্বতী পূজা যুগ যুগ ধরে চলমান থাকবে এটাই প্রত্যাশা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।