ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের জীবন-জীবিকার উন্নতির লক্ষ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ড. মোমেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বার্মা।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ভৌগোলিক নৈকট্য উভয় দিক থেকেই ভারতকে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করেন।
ড. মোমেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পরিবর্তন তুলে ধরেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এটি একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে তিনি যোগ করেন।
ড. মোমেন আরও জোর দিয়ে বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। গত এক দশকে দ্রুত বর্ধনশীল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য তিনগুণ বেড়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি সব ধরনের বাণিজ্য বাধা মোকাবিলা করে ভারসাম্যপূর্ণভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান।
ড. মোমেন আরও বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা ও পর্যটনে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক যায়। একইভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় বাংলাদেশে বিভিন্ন সেবা খাতে কাজ করছেন। মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রভাব, ইউরোপে সংকট এবং আসন্ন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ অঞ্চলের দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সম্ভাব্য অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতির অধীনে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি ভারতকে ধন্যবাদ জানান।
দুই দেশের জনগণের উন্নতি, যৌথ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আগামীতে একসঙ্গে কাজ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
টিআর/এএটি