ঢাকা: পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানিয়েছেন, বন্ধ করে দেওয়া সরকারি পাটকলগুলোর ১০৫৬ জন শ্রমিকের পূর্ণ পাওনা পরিশোধে দেরি হচ্ছে। তাদের পাওনা দ্রুত পরিশোধে জন্য অর্থ মন্ত্রাণালয়ের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ সব তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধ ঘোষিত মিলগুলির পাওনা ও অন্যান্য দায়-দেনা পরিশোধে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৮৯১.১৫ কোটি (আটশ একানব্বই কোটি পনের লাখ) টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৮৩০.৮১ কোটি (আটশ ত্রিশ কোটি একাশি লাখ) টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যার শতকরা হার ৯৩.২৩%।
তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে ৫.০০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও আয়কর রির্টান দাখিল বাধ্যতামূলক হওয়ায় ১০৫৬ জন শ্রমিকের পূর্ণ পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। সঞ্চয় অধিদপ্তরের সফটওয়ার টিআইএন ভ্যালিডেশন অফ (TIN Validation off) শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রাণালয়ের অর্থ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে, গত কয়েক বছরের বাণিজ্যিক নিরীক্ষা (অডিট) কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বকেয়া সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসকে/এমএমজেড