ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৭ বছর পর গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৭ বছর পর গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকির খাঁকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. কামরুজ্জামান পুলিশ ফোর্স নিয়ে শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার জাকির খাঁ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আমানত খাঁর ছেলে। তিনি সাত বছর ধরে পলাতক ছিলেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে চাঁনপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন শরীফ খাঁ (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের চার জনসহ পাঁচজনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামিরা হলেন আমানত খাঁ ও তার তিন ছেলে জাকির খাঁ, গাজি খাঁ, মাহবুব খাঁ এবং আমান খাঁর ভাতিজা আমীর খাঁ। মামলা হওয়ার পর থেকেই জাকির খাঁ ও তার দুই ভাই পলাতক ছিলেন।

২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ হত্যা মামলায় জাকির খাঁসহ তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড এবং তাদের পিতা আমানত খাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমানত খাঁ বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। এ মামলার আরেক আসামি আমির খাঁ ২০১৮ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাত বছর পলাতক জাকির খাঁকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ছদ্মবেশে অজ্ঞাত স্থানে থেকে অটো চালাতেন। শনিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। শোনা যাচ্ছে তারা বিদেশে অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।