ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রেলক্রসিংয়ে লোহার বেরিয়ারের বদলে বাঁশ, চলাচলে আতঙ্ক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
রেলক্রসিংয়ে লোহার বেরিয়ারের বদলে বাঁশ, চলাচলে আতঙ্ক

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-জামালপুর রেললাইনের রেলক্রসিংয়ে লোহার বেরিয়ারের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ট্রেন দুর্ঘটনার শঙ্কাসহ আতঙ্কে রয়েছেন যানবাহনচালকরা।

 

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ছাব্বিশা এলাকায় টি-২০ রেলক্রসিংয়ে দেখা গেছে বাঁশের তৈরি বেরিয়ার ব্যবহার হচ্ছে সেখানে। বাঁশের একপ্রান্তে সিমেন্টের বস্তা ঝুলিয়ে বেরিয়ার ওঠানামার কাজ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় তিন মাস আগে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় লোহার বেরিয়ারটি ভেঙে যায়। কিছুদিন ওই অবস্থায় পড়ে থাকে। এরপর জোড়াতালি দিয়ে বেরিয়ারটি মেরামত করা হলেও তা কাজে আসেনি। কিছুদিন লাল কাপড়ের পতাকা উড়িয়ে ট্রেনের যাতায়াতকালে যানবাহন ও লোকজনকে চলাচলে সর্তক করা হচ্ছে। এখন বাঁশের একটি বেরিয়ার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।

বেরিয়ারটি পরিবর্তন না করায় যেকোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছে তারা। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে নিমার্ণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন কর্মকর্তা, সেতুর কাজে মালামাল পরিবহনকারী গাড়ি, সেতুপূর্ব রেলস্টেশনে প্রতিদিন শতশত বাস-ট্রাক সিএনজি, অটোরিকশা ও অটোভ্যানসহ নানা ধরণের অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে।  

স্থানীয় সিএনজি চালক নয়ন, ছালামসহ একাধিক চালকের অভিযোগ, আমাদের প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কয়েক মাস যাবৎ রেলক্রসিংয়ের লোহার বেরিয়ারটি অকেজো হয়ে রয়েছে। ট্রেন কখন আসে তা এখন বুঝতে পারি না। ট্রেন দুর্ঘটনার আতঙ্ক নিয়ে প্রতিদিন আমাদেরকে রেললাইন পারাপার হতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বেরিয়ারটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই ।

ওই রেলক্রসিংয়ের দায়িত্বরত গেটম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, বেরিয়ারটি পরিবর্তনের জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে জানানো হলেও এটি এখনবধি মেরামত হয়নি। তাই মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে বাঁশের বেরিয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে।

একইরকম বক্তব্য ভূঞাপুর রেলস্টেশন মাস্টার আব্দুল কাদেরের। তিনি বলেন, মাসখানেক আগে নিজ উদ্যোগে বেরিয়ারটি মেরামত করা হলেও তা আবার অকেজো হয়ে গেছে। এখন বাঁশের বেরিয়ারটি পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভূঞাপুরের ছাব্বিশা এলাকায় অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা লোহার বেরিয়ারটির বিষয়ে অবগত ছিলাম না। বিষয়টি রেলওয়ের আওতাধীন হলেও যানবাহন চলাচল ও জনস্বার্থে সরেজমিনে দেখে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।