ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে জাহানারা বেগম (৪৮) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আহত ওই গৃহবধূকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা।

এর আগে গত (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লালুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী জাহানারা বেগম জানান, ২০২১ সালের ১৬ জুলাই সোনাকাটা ইউনিয়নের লালুপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তার আপন ভাই বাবুল হাওলাদারের শ্যালক শাহিন চৌকিদারের ছেলেকে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পর তারা শাহিনকে বিদেশে না পাঠিয়ে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহানারা বেগম তার জা রাজিয়া বেগমের কাছে টাকা চাইতে গেলে রাজিয়া বেগম, তার শাশুড়ি সেতারা বেগম, ননদ জেসমিন বেগম ও ভাসুর আবুল হোসেন জাহানারা বেগমকে ঘরে আটকে ব্যাপক মারধর করেন। এক পর্যায়ে রড গরম করে জাহানারা বেগমের ডান গালে, পিঠে, দুই হাতে, বাঁ পায়ে ছ্যাকা দিয়ে গুরুতর জখম করে। রডের ছ্যাকায় জাহানারা বেগমের গাল, হাত-পায়ে এবং পিঠের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকা পড়ে কালো দাগ হয়ে ফুলে ওঠে। এই নির্যাতনের সময় জাহানারা বেগম ডাক চিৎকার দিলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।

জাহানারা বেগমের ভাই হাবিব চৌকিদার অভিযোগ করে বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম আমার কাছ থেকে আমার ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য ৩ লাখ টাকা নেয়। দুই বছর অতিবাহিত হলেও আমার ছেলেকে বিদেশেও পাঠায়নি, টাকাও ফেরৎ দেয়নি। টাকা চাওয়ার অপরাধে আমার বোন জাহানারাকে বেদম মারধর করে রড পুড়িয়ে ছ্যাকা দিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।  

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, তারা আমাদের কাছে কোনো টাকা-পয়সা পাবে না। এছাড়া জাহানারা বেগমকে আমরা কোনো মারধর করিনি। আমাদের হয়রানি করার জন্য তারা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. লুনা বিনতে হক বলেন, জাহানারা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহা জাতীয় কিছু দিয়ে ছ্যাকা দেওয়ার অনেক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও লাঠি দিয়ে পেটানোর আঘাতও রয়েছে। তার সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।