ঢাকা: যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে সৌদি আরব। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এ কথা জানিয়েছেন ।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে সাক্ষৎকালে তিনি এ কথা জানান। এসময় যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের সুসম্পর্কের উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক ও যৌথ অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয় যেমন বাণিজ্য থেকে শুরু করে জনশক্তি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও বন্ধু প্রতিম দুই দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সৌদি সরকার যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায়। যার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হবে।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বদলে যাওয়া উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়শী প্রশংসা করেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূতের এ প্রস্তাবনাকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অত্যন্ত ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট, ফুটবল, আরচ্যারিসহ অন্যান্য খেলাধুলায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা ভোগ করছে। দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই যুব সমাজ।
তিনি বলেন, দেশের এ বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে আধুনিক বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তর করা হচ্ছে। এসব দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনশক্তি বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরবে রপ্তানি করছে। যারা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা হলে ক্রীড়ার উন্নয়নে দক্ষ-অভিজ্ঞ খেলোয়াড়. কোচ ও কর্মকর্তা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হবে। পারস্পারিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সৌদি উন্নয়ন সহায়তা ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে। এছাড়াও যুব বিনিময় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪,২০২৩
জিসিজি/এমএমজেড