ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টিএসসিতে রক্তাক্ত গীতাঞ্জলি হাতে রবীন্দ্রনাথ!

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
টিএসসিতে রক্তাক্ত গীতাঞ্জলি হাতে রবীন্দ্রনাথ!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যতিক্রমী ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। ভাস্কর্যটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে তাঁর হাতে থাকা গীতাঞ্জলিতে পেরেক দিয়ে প্রতীকী রক্তাক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ভাস্কর্যটি বসানো হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী ভাস্কর্যটি স্থাপন করেন।

এ সময় জানতে চাইলে সেখানে থাকা ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী সুমিত রায় বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে এটি তৈরি করছি। এর বেশি কিছু বলা যাবে না!

হঠাৎ এমন ভাস্কর্য দেখে দ্বিধান্বিত হন সাধারণ জনতা। কেউ কেউ ব্যতিক্রমী এই ভাস্কর্যের সাথে ছবি ধারণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আবার কেউ কেউ ভাস্কর্যটির দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন এর মর্মার্থ।

পরবর্তীতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এমন কিছু তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যা মানুষকে কথা বলতে এবং আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীলতার প্রতীক এবং এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই মূল্যবোধগুলো আমাদের সমাজের জন্য অপরিহার্য। আমাদের প্রত্যাশা ভাস্কর্য মানুষকে সেন্সরশিপ এবং অন্যান্য ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলতে অনুপ্রাণিত করবে।

উপস্থিত সাধারণ মানুষের মাঝে ভাস্কর্যটিকে ঘিরে কৌতূহল লক্ষ্য করা গেছে। পাশে দাঁড়িয়ে ভাস্কর্যের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করছিলেন রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে বই কিনতে আসা শিক্ষার্থী জাবেদুল হক।

জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ঠিক আসলে বুঝতে পারছি না। প্রথম দেখাতে মনে হচ্ছে কোনো কিছুর প্রতিবাদ স্বরূপ এটা বানানো হয়েছে। আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে, সাধারণত লেখকদের স্বাধীনতা হরণ করার প্রতিবাদ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আসলে এই বিষয়টাকে অনেকভাবে বর্ণনা করতে পারি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি আদর্শ প্রকাশনীর বেশ কয়েকটি বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই বিষয়ের সাথেও এই ভাস্কর্যকে সম্পর্কিত করা যায়। আবার সাধারণভাবে মানুষের মতপ্রকাশের ওপর যেসব বাধা আসছে সেই বিষয়ের সাথেও সম্পর্কিত করতে পারি। তবে কে বা কারা এটা বানিয়েছে আমি জানি না। হয়তো তাদের কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।