ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে নুরুন্নাহার (৩৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ ও তার সহযোগী জহুরুল তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছেন।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দির গণেশমোড় এলাকার লাবলুর বাসা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত নুরুন্নাহার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলি গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আলীমের স্ত্রী।  

এর আগে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নুরুন্নাহার থানায় অভিযোগ দেন বলে জানিয়েছে পরিবার। তবে পুলিশ অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলি গ্রামের প্রবাসী আলীম তার মামাতো বোন নুরুন্নাহারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ১১ বছরের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে নুরুন্নাহার স্বামীর বাড়ি না থেকে ভূঞাপুরে ভাড়া বাসায় সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার স্বামী মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। ফেরার পর জানতে পারেন যে, তার শ্যালিকার স্বামী জহুরুলের মাধ্যমে ঘাটাইল উপজেলার রুপের বয়ড়া গ্রামের মাসুদ নামের একজনের সঙ্গে পরকিয়ায় লিপ্ত তার স্ত্রী নুরুন্নাহার। বিষয়টি নুরুন্নাহারকে জানালে কোনো জবাব দেননি তিনি। পরে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পরকিয়া প্রেমিক মাসুদ ও জহুরুল ভূঞাপুরের গণেশ মোড় এলাকার নির্জন জায়গায় আলিমকে ডেকে নেয়। এসময় স্ত্রী নুরুন্নাহারের সামনেই স্বামী আলীমকে মারধর করে তারা। একইসঙ্গে এলাকায় না থাকার শর্তে এবং প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নুরুন্নাহারের ভাই মনিরুজ্জামানকে ফোনে জানালে ঘটনা জানতে পারে তাদের পরিবার। এ ঘটনার জেরে শনিবার সকালে নুরুন্নাহার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

মৃতের স্বামী আলীম বলেন, বিদেশ থেকে ফিরেই শ্যালিকার স্বামীর (জহুরুল) মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার স্ত্রী নুরুন্নাহার পরকিয়ায় লিপ্ত। পরে জহুরুল আমার স্ত্রীর ও মাসুদের গভীর সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও দেখায় এবং আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। বিষয়টি স্ত্রীকে জানালে তিনি কোনো জবাব দেননি। এরপর শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাসুদ ও জহুরুল মিলে আমাকে একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে মারধর করে। সেখানে আমার স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাদের বিভিন্ন শর্তে রাজি হয়ে প্রাণভয়ে ভূঞাপুর থেকে পালিয়ে যাই এবং স্ত্রীর ভাইকে ফোনে বিস্তারিত বললে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়।

আলীম অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রী নুরুন্নাহারকে বিদেশ থেকে পাঠানো প্রায় ৫ লাখ টাকা মাসুদ বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া আরও ৫ লাখ টাকা ঋণ করেছেন আমার স্ত্রী।

এদিকে, থানায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।