ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

এমপি নজিবুল বশরের ২ ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এমপি নজিবুল বশরের ২ ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা: প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ঋণের ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি আসনের (চট্টগ্রাম-২) সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কমিশন ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়।

মামলার আসামিরা হলেন- এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারী, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম খালেদ, তার ছেলে কে এম রাকিব হোসেন এবং আত্মীয় খন্দকার মো. মোস্তাহিদ, বর্তমান পরিচালক মুসলিমা শিরিন, জেড এম কায়সার, মো. অলিউজ্জামান, এম শাহাদত হোসেন কিরন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলশান আরা হাফিজ ও অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তাজরিয়ান হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান কবির খান, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল হক।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দুদক। পরে সংস্থাটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলে ও প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ অন্যরা মিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে বলে জানা গেছে।

এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর সৈয়দ আফতাবুল বশর শর্ত সাপেক্ষে পাঁচ বছর মেয়াদি টার্ম ঋণের জন্য আবেদন করেন। দেখা যায়, তাদের আবেদনের দুদিন আগে অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর প্রাইম ফাইন্যান্সের বোর্ড সভায় ঋণ দুটি অনুমোদন করা হয়।

সৈয়দ তৈয়বুল বশরকে ২০ কোটি টাকা ও সৈয়দ আফতাবুল বশরকে ১৯ কোটি ৪০ রাখ টাকা টার্ম লোন দেয় প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ওই ঋণ তারা ব্যাক্তিগত প্রয়োজন মেটাতে নিয়েছেন বলেও দুদকের করা মামলা এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এসএমএকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।