ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১৪ বছর একই স্থানে কর্মরত, পদোন্নতি পেয়েও রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
১৪ বছর একই স্থানে কর্মরত, পদোন্নতি পেয়েও রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে

টাঙ্গাইল: চাকরি জীবনের ১৪ বছর একই স্টেশনে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কাজ করেছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো) কার্যালয়ের জিয়ারত হোসেন খান।  

গত বছরে পদোন্নতি পেয়ে উচ্চমান সহকারী হয়েছেন।

তারপও রয়ে গেছেন একই স্থানে। বদলি হয়ে অন্যত্র গেলেও ফের আবেদন করে ফিরে আসেন সখীপুর অফিসে।  

বিষয়টি নিয়ে সখীপুর অফিসে চলছে নানা ধরনের সমালোচনা।

সখীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, জিয়ারত হোসেন খান ২০০২ সালের ৩ জানুয়ারি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে সখীপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ বিউবো অফিসে যোগদান করেন। একই বছরের ৮ জুলাই তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়।  

২০০৯ সালের ১ জুলাই পুনরায় একই পদে সখীপুর বিদ্যুৎ অফিসে যোগদান করেন তিনি। দীর্ঘ ১৩ বছর ওই পদে চাকরি করার পর ২০২২ সালের ১৪ মার্চ উচ্চমান সহকারী হিসেবে পদোন্নতি পান।  

তবে উচ্চমান সহকারী পদে একজন কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও অন্য স্থানে বদলি না হওয়ায় সখীপুরেই থেকে যান জিয়ারত হোসেন খান। সাত মাস পর ২০২২ সারের ৪ অক্টোবর ময়মনসিংহ আঞ্চলিক বিতরণ কেন্দ্রে বদল হন জিয়ারত হোসেন খান।  

কিন্তু বদলি হওয়ার দুই মাস পর ৬ ডিসেম্বর পুনরায় সখীপুরে বদলি হয়ে আসেন তিনি।

বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চল (বিউবো) ময়মনসিংহ অফিস সূত্র জানায়, জিয়ারত হোসেন খান সখীপুর থেকে ময়মনসিংহে যোগদান করার পর পারিবারিক প্রয়োজন দেখিয়ে আবার টাঙ্গাইলের সখীপুরে বদলি হয়ে আসেন। তিনি সখীপুরে আসার পর থেকে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক অফিসে উচ্চমান সহকারীর পদটি ফাঁকা রয়েছে।

জিয়ারত হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, পদোন্নতি পাওয়ার পর আমাকে ময়মনসিংহে বদল করা হয়েছিল। যেহেতু ছোট চাকরি করি, টাঙ্গাইল থেকে অফিস করা অনেক দূর হয়ে যায় আমার জন্য। এ কারণে আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সখীপুরে পুনরায় বদলি করেন আমাকে। এখন টাঙ্গাইল শহরে এবং সখীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে অফিস করছি।

সখীপুর বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান ভূঞা বাংলানিউজকে বলেন, জিয়ারত হোসেন খান দীর্ঘদিন এখানে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে তিনি উচ্চমান সহকারী হয়েছেন। তবে তার বদলির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।