ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিমানবন্দরে হবে ল্যান্ডমার্ক আন্ডারপাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
বিমানবন্দরে হবে ল্যান্ডমার্ক আন্ডারপাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: বিমানবন্দরের ৩টি টার্মিনাল, বিআরটি (বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) ও মেট্রোরেল স্টেশন এবং আশকোনা হাজী ক্যাম্পকে সংযুক্ত করে নির্মিত হতে যাচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প। এক কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের এ টানেলটি হবে একটি ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের ডিজাইন এবং সার্বিক বিষয়গুলোতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।  

প্রকল্পের উপস্থাপনা দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, খুব সুন্দর হয়েছে। যা যা চাচ্ছিলাম তার সব কিছু এখানে আছে।

সরকার প্রধান বলেন, এটা খুবই সুন্দর হয়েছে, এটা হলে একটা ল্যান্ডমার্ক জিনিস ঘটবে। ওই এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনাও কমে আসবে। মানুষ রেলে এসে নেমেই বিমানে উঠতে পারবে, পরিবেশও ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ যাতে সহজে এবং সুন্দরভাবে সেবা পায় সেটি মাথায় রেখে সব থেকে ইউনিক, সুন্দর এবং টেকসই হতে হবে এই প্রকল্পটি।

প্রায় ১১৮৩ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এই আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগ্রেড।

আন্ডারপাসটি চলন্ত সিড়ি, লিফটের পাশাপাশি থাকবে বিমানবন্দরের মতো বাগি কার (Buggy)।

আন্ডারপাসটিতে এসি পাশাপাশি প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। কোনো কারণে বিদ্যুৎ বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে প্রাকৃতিক অক্সিজেন প্রবাহের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও থাকবে।

এখানে আটটি বের হওয়ার এবং প্রবেশ পথ থাকবে। একই সঙ্গে এখানে থাকবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও। প্রায় দেড় লাখ লিটার পানি রিজার্ভ রাখা হবে।

আন্ডারপাস টানেলে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।  

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল অ্যাভিয়েশন) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এমইউএম/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।