নড়াইল: নড়াইল সদরের কলেজছাত্র দীপ্ত সাহার (২০) মরদেহ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তার ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এসময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতেই খুন হন দীপ্ত। তার পরিচিতজনরাই তাকে খুন করে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নড়াইলের নড়াগাতী থানার বাওইসোনা এলাকা থেকে দীপ্তর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর আমাদের প্রথম কাজ ছিল হত্যার কারণ শনাক্ত করা। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ বেশ কিছু বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে। রাতেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয় এবং এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করছে মোটরসাইকেলের জন্য তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করছি না। অতি দ্রুতই আমরা বিস্তারিত জানাব।
প্রসঙ্গত, নড়াইল সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হোগলা ডাঙ্গা গ্রামের দ্বীনো সাহার একমাত্র ছেলে দীপ্ত সাহা (২০) নির্মমভাবে খুন হন। দ্বীপ্ত নড়াইল সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিলেন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হোগলা ডাঙ্গা এলাকায় নামযজ্ঞের মেলায় দেখার উদ্দেশ্যে নিজের ব্যবহৃত অ্যাপাচি ৪ ভি মোটরসাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফিরে আসেননি তিনি।
পরদিন শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে দীপ্তর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তম ঘোষের মাছের ঘের থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ফাঁসের দাগ ছিলো।
এসময় তার পকেট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা গেলেও মোটরসাইকেলের কোনো সন্ধান ছিলো না।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসএএইচ