ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ ৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
নারায়ণগঞ্জে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ ৫

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে ফতুল্লা মেট্রো গার্মেন্টস সংলগ্ন একটি দোতলা বাড়ির নিচে তলায় এ বিস্ফোরণের ঘটন ঘটে।

দগ্ধরা হলেন, গার্মেন্টসকর্মী আল-আমিন হোসেন (৩০), তার স্ত্রী সুখি আক্তার (২৫), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগম (৬০) ও তার ছেলে জামাল হোসেন (৪০) এবং রাজমিস্ত্রীর সহযোগী রফিক মিয়া (৪৫)।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা আল-আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, সুখী মেট্রো গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আর তার স্বামী মোতালেব মনোয়ারা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ওই বাড়ির নিচ তলার একটি রুমে ভাড়া থাকেন তারা। দুজন দুপুরে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে খাবার গরম করার জন্য রান্না ঘরে যান। সেখানে দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিকট বিস্ফোরণ হয়। এতে তাদের দুজনের সমস্ত শরীর পুড়ে যায়। পাশের রুমে থাকা আলেয়া বেগম, তার ছেলে এবং পাশের রুমে রাজমিস্ত্রির কাজ করা রফিক মিয়া সামান্য দগ্ধ হন।

খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধ আলেয়া বেগম জানান, রান্নাঘরটিতে বেশ কয়েকদিন ধরে গ্যাস লিকেজের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো। এজন্য চুলাতে গ্যাস বের হতো না। লিকেজ হওয়া গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তার ধারণা।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, সুখী এবং আল-আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে ৯৮ ও ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকিদের সামান্য দগ্ধ হয়েছে।

আল-আমিনের বাড়ি পটুয়াখালী সদর আলিয়াপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. শহিদ। আল-আমিন ও সুখির একমাত্র ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এজেডএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।