ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার রাস্তায় নারী চিকিৎসককে গাড়িতে তুলে নির্যাতনের অভিযোগ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
ঢাকার রাস্তায় নারী চিকিৎসককে গাড়িতে তুলে নির্যাতনের অভিযোগ 

ঢাকা: রাতে রাজধানীর রাস্তা থেকে এক নারী চিকিৎসককে প্রাইভেটকারে তুলে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে লালবাগ বেড়িবাঁধ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নাজমুল ও হাসান নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।  

ভিডিওতে নিজেকে রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক দাবি করে তাকে নির্যাতনের বর্ণনা দিতে দেখা গেছে।

ওই নারীর দাবি, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কর্মস্থল থেকে লালবাগের বাসায় ফেরার পথে পূর্বপরিচিত ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে তার গাল, কপাল, গলা ও বাঁ হাতের বাহুতে জখম করেন।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে রিকশায় নিজের লালবাগের বাসায় ফিরছিলাম। সঙ্গে আমার ছোট ভাইও ছিল। এ সময় একটি প্রাইভেটকার এসে রিকশার গতি রোধ করা হয়। প্রাইভেটকার থেকে নাজমুল ও আকাশ বের হয়ে আমাকে রিকশা থেকে টেনে নামায়। তখন গাড়ির ভেতরে ছিলেন হাসান ও মশিউর নামে আরও ব্যক্তি। তারা আমাকে জোরপূর্বক গাড়ির তুলেন। এ সময় আমার ছোট ভাই বাধা দিলে এলে তাকে রিকশা থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয় তারা। তখন সে চিৎকার করলেও আশপাশে কেউ ছিল না।

ওই নারী বলেন, মশিউর গাড়ি চালাচ্ছিলেন, রাস্তাও অন্ধকার ছিল। একপর্যায়ে তারা মারধর ও শ্লীলতাহানি করে আমার। একপর্যায়ে আমি গাড়ির দরজা খুলতে সক্ষম হই এবং পড়ে যাই। এ সময় লালবাগ থানার পাশের রিকশার গ্যারেজ থেকে লোকজন ছুটে এসে আমাকে টেনে তোলেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই।

ওই নারী চিকিৎসক ভিডিওতে আরও বলেন, মূলত আমার ওপর ওদের জেলাসি ছিল। কারণ, আমি আমার কাজিনের ব্যবসা দেখাশোনা করতাম। হাসান ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিল। একজন ড্রাইভারের একের পর এক চুরির ঘটনা আমি ধরিয়ে দিই। এসব ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একের পর এক চুরির মামলা হয়েছিল। আমি ওই মামলার সাক্ষী ছিলাম।

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মোরশেদ বলেন, ওই নারী নিজেকে লালবাগের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছেন। সেখানে যোগাযোগ করে জানা যায়, এই নামে তাদের কোনো চিকিৎসক নেই।

ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার জের ও সাজানো ধারণা করে তিনি বলেন, তবুও এ ঘটনায় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে ৪ আসামি নাজমুল, হাসান, আকাশ ও মশিউরের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ মার্চ) অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ঘটনার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
পিএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।