ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমিরুলকে যেভাবে হত্যা করেন আলমগীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
আমিরুলকে যেভাবে হত্যা করেন আলমগীর নিহত আমিরুল ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বর্ণনা দিচ্ছেন আলমগীর (বাঁ থেকে)

সিলেট: সিলেট নগরের বন্দরবাজারে আমিরুলের সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে বাজার করতে নামেন তার যাত্রী।

সে সময় আমিরুলের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে আলমগীর সিএনজি অটোরিকশার।

 

এ নিয়ে দুই চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও গালিগালাজ হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। হঠাৎই আমিরুলের বুকে সজোরে লাথি মারেন আলমগীর। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান আমিরুল। উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

বুধবার (১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে বন্দরবাজার প্রধান ডাকঘরের সামনের সড়কে আমিরুলের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান আলমগীর।  

সিলেট মহানগর পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।  

একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঘটনার পর ‘ঘাতক’ সিএনজি অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেনকে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন জনতা।  

নিহত আমিরুল ইসলাম (৩০) সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন কান্দিরগাঁও গ্রামের মৃত ইদন মিয়ার ছেলে ও একই থানা এলাকার টুকেরবাজার ঘোপাল গ্রামের বাসিন্দা।

আর আলমগীর ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন কালিকুচ্চা গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে।

আটকের পর থানায় নিয়ে আমিরুলকে হত্যার কারণ জানতে আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।  

একই পেশার হলেও আমিরুলকে আগে চিনতেন না বলে জানায় আলমগীর।

ঘটনার বিষয়ে ‘ঘাতক’ আলমগীর কোনো ধরনের অনুশোচনা না করেই বলেন, ওখানে গাড়ি রাখা ছিল আমিরুলের। তার গাড়ির সঙ্গে লাগতেই গালি দেয়। এতে ক্ষেপে গিয়ে আমি ঝগড়া শুরু করি। আমিরুল আমার কপালে ঘুষি মারে দাবি। এতে আরও রেগে গিয়ে আমি তার বুকে লাথি মারি। সে রাস্তায় পড়ে অজ্ঞান হয়।  
 
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, দুই চালকের মধ্যে মারামারি ঘটনায় একজনের লাথিতে অপর জনেরর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। আর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।     

নিহতের স্বজনরা জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে আমিরুল তৃতীয়। তার চার ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। উপার্জনের তাগিদে এদিন সকালে তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে আসেন। পরিবারের লোকজন রাতে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে আমিরুলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তারা হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।    

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘন্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
এনইউ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।