ঢাকা: মোটরসাইকেল চলাচলের নীতিমালা সংশোধান ও পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চালকরা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন মোটরসাইকেল চালক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার মোটরসাইকেল চলাচলের একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। যেখানে শহরের মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ কিলোমিটার। মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতি ধরা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। আবার মহাসড়কে সর্বনিম্ন ১২৬ সিসির মোটরসাইকেল চলাচলের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো আরোহীও নেওয়া যাবে না। এছাড়া ঈদ ও উৎসবের আগে-পরে ১০ দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার বিধান রাখা হয়েছে ওই নীতিমালায়।
তারা আরও বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এই নীতিমালায় বেশ কিছু বিষয় অপ্রাসঙ্গিক। যা নিরাপত্তা না বাড়িয়ে বরং ভোগান্তি বাড়াবে। শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের উপর আইন প্রণয়ন করে জ্যাম ও দুর্ঘটনা কমানো যাবে না।
তারা আরও বলেন, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করার সময় সরকার আরোহীসহ মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তাহলে এখন তাদের কেন মনে হয়েছে আরোহী নেওয়া যাবে না। এটা একেবারেই অযৌক্তিক।
বক্তারা আরও বলেন, মোটরসাইকেল চালকরা বিভিন্ন উৎসবে পরিবারের সঙ্গে করতে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যায়। মূলতে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মোটরসাইকেল চালকরা এই পন্থা অবলম্বন করে। তার উপর বাড়িতে চলাফেরার জন্য মোটরসাইকেল অনেক উপকারে আসে। অথচ সরকার এখন এসব বন্ধ করে অযৌক্তিক খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে।
তাই মোটরসাইকেল চলাচলের খসড়া নীতিমালা সংশোধন ও পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বাইক বিডি, কেবি রাইডার্স, ন্যাশনাল বাইকার, বিডি বাইকারস ও বিএমআরএস গ্রুপসহ বিভিন্ন মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও মোটরসাইকেল চালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩
এসসি/এসএ