পাবনা: জেলার ফরিদপুর উপজেলায় পিস্তল নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ধাওয়া দেওয়া সেই মেয়র পুত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছে।
ওই তরুণের নাম কামরুল হাসান (২৭)। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. কামরুজ্জামান মাজেদের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, জব্দ করা পিস্তলটি কামরুজ্জামানের নামে লাইসেন্স করা। ঘটনার পর পুলিশ পিস্তলটির কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করে মালিকানার সত্যতা পেয়েছে। তবে পিস্তলের অবৈধ ব্যবহারের জন্য অস্ত্র আইনে মামলাটি করা হয়েছে। রাতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় কামরুল হাসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অস্ত্র আইনে মালিক লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করেছেন কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, মেয়রের অজান্তেই তার ছেলে বাড়ি থেকে পিস্তলটি বের করেছেন, যা প্রাথমিক তদন্তে পরিষ্কার হয়েছে। ফলে এখানে অস্ত্র লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি আসেনি।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়রপুত্র কামরুল দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন। মাস ছয় আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। এরপর থেকে এলাকাতেই আছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার পুঙ্গুলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ হয়। সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র কামরুজ্জামানের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয় তার। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাজেদুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন মেয়রের ছেলে কামরুল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল উপজেলা সদরে এলে কামরুল হাসান লোকজন নিয়ে তার ওপর চড়াও হন। এ সময় সাজেদুল পালানোর চেষ্টা করলে কামরুল পিস্তল নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে সাজেদুলের লোকজন তাকে পিস্তলসহ ধরে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে পিস্তলটি জব্দ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
এসআইএ