ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিচার দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিচার দাবি স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিচার দাবি

নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরায় সানিয়া আক্তারকে (১৯) নামে এক গৃহবধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।  

শনিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া  এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন করা হয়।

সানিয়া আক্তার উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ নামা পাড়া গ্রামের শাজাহান হাজারীর মেয়ে । তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রবিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

জানা যায়, ছয় মাস আগে পরিবারকে না জানিয়ে ভালোবেসে স্কুল জীবনের সহপাঠী কলেজ ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ। পরে বিয়ের কথা জানাজানি হলে, প্রথমে সাজিদের বাবা সানাউল্লাহ অভি এ সর্ম্পক মেনে নিলেও পরে তা অস্বীকার করেন। এ দিকে স্বামীর অবহেলা, শ্বশুরবাড়ি লোকজনের মানসিক নির্যাতনের কারণে মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন ওই কলেজছাত্রী। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফাঁকা বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সানিয়া। এ ঘটনার পর সাজিদ ও তার বাবা সানাউল্লাহ ও মা সালমা বেগমকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ করেন মৃত কলেজছাত্রীর মা বিলকিছ বেগম।

মানববন্ধনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৃত কলেজছাত্রী সানিয়ার চাচা আব্দুল বাতেন হাজারী, স্থানীয়দের মধ্যে আলমগীর কবির, দেলোয়ার হোসেন, সোলাইমান কাদের, সোবর হাজারী, আব্দুল হামিদ ও একেএম মিলনসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিয়ের পর থেকেই সানিয়াকে চরম অবহেলা ও মানসকি নির্যাতন করে আসছিলেন তার স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন। এ সর্ম্পকও মেনে নেননি তারা। এতে চরম বিষন্নতায় ভুগছিলেন সানিয়া। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সানিয়া। এ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তার স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। এ সময় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান তারা।

রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।