নীলফামারী: নীলফামারীতে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন শাহরিয়ার সিহাব (১২) নামে এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ মার্চ) বিকেলে সদর থানায় তিনজন নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
এর আগে রোববার (০৫ মার্চ) রাত ১২টার দিকে জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের অদূরে ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিহাব একই গ্রামের এরশাদুল হকের ছেলে ও শহরের নীলফামারী ক্যাডেট একাডেমির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা শহরের একটি দোকানের কর্মচারী ও মা শাহানাজ বেগম ইপিজেডের একটি কারখানার শ্রমিক। তাদের এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সিহাব ছিল বড়।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে সেচ নালায় গর্ত করে গলাকাটা অবস্থায় সিহাবকে পুতে রাখা হয়। রোববার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী কৃষক হাচিনূর জমিতে সেচ দিতে গেলে দেখেন ওই নালার মাঝখানে মাটি উঁচু থাকার কারণে পানি আটকা পড়ে আছে। সেখানে মাটি সরাতে গেলে তিনি সিহাবের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে সিহাবের মরদেহ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সিআইডি ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তারুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা এরশাদুল হক বাদী হয়ে সন্দেহভাজন তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন। হত্যার রহস্য উদঘাটনে সদর থানা-পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে ডিবি পুলিশ ও সিআইডি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এফআর