ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নারীর জীবনমানের উন্নয়ন ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
নারীর জীবনমানের উন্নয়ন ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়

ঢাকা: নারীর নিরাপত্তা ও জীবনমানের স্থায়ী উন্নয়ন ব্যতিরেকে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন।

বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এই দাবি জানায় সংগঠন দুটি।

সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্যে এগিয়ে চলেছি- সেখানে আবিষ্কার ও প্রযুক্তির বিশ্বে সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রত্যয়ই এবারের অঙ্গীকার। প্রযুক্তির বলয়ে হরেক অপরাধ প্রবণতা এবং নারীদের বিভিন্নভাবে বিপদে, ফাঁদে ফেলার অপতৎপরতা রয়েছে। এসব বিষয়ে অপরাধ চক্রকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে নারী সমাজকে নিশ্চিত ও স্বস্তিকর জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে আইনি কার্যক্রমও অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া নারীদের সম্পত্তিতে সমঅধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বক্তারা বলেন, নারীর উন্নয়ন ঘটেছে, কিন্তু ক্ষমতায়নের জায়গাটি এখনো অনেকখানি দুর্বল। বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় নারীরা কারো স্ত্রী, কন্যা, মা হিসেবে পরিচিত হন। অর্থাৎ নারীরা পরিচয়ের দিক থেকে সংকটের মুখে। পুরুষতন্ত্র কেবল পুরুষের মধ্যেই নয়, নারীর মধ্যেও রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, চাকরি হচ্ছে নারীর জন্য, কিন্তু ক্যারিয়ার হচ্ছে পুরুষের জন্য। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগে, অস্তিত্বের সংকট রেখে নারীদের কি ক্ষমতায় আনা সম্ভব? প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তন করতে সামাজিক আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।

তারা বলেন, নারীর নিরাপত্তা ও জীবনমানের স্থায়ী উন্নয়ন ব্যতিরেকে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। দেশের জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে গেলে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। নারীর জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা না গেলে নারীর সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটবে না। ফলে বিঘ্নিত হবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন।  

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ২২ হাজার টাকা ঘোষণা, নারীর ওপর সব প্রকার সহিংসতা-নির্যাতন বন্ধ, আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও ১৮৯ অনুস্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন, মাতৃত্বকল্যাণ ছুটি ৬ মাসের আইন, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল পরিবেশ নিশ্চিত এবং নারীবান্ধব আইনগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি তোলা হয় সমাবেশ থেকে।

ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়াকার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, সুইটি, মো. ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি, রাবেয়া ইসলাম, সাথী বেগম, মো. তাহেরুল ইসলাম,  সালমা, জোসনা, খাদিজা, ফাতেমা ও মো. আশরাফুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।