ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে ছড়িয়ে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে ছড়িয়ে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: চ‍্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে দেশে সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) নৌপরিবহন শিল্পকলা একাডেমিতে ক‍্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘তৃতীয় জাতীয় ক‍্যাম্পাস থিয়েটার ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে এক সময় আমাদের সংস্কৃতিকে চেপে ধরা হয়েছিল। এখন আর সে সময় নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অন্যান্য সবকিছুর মতো সাংস্কৃতিক কমকাণ্ড এগিয়ে চলছে। অনেক চ‍্যালেঞ্জ আছে। এ চ‍্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতিহাস সমৃদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে, যুবকদের সঙ্গে আছে। পৃথিবীর সঙ্গে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংস্কারের মাধ‍্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

সরকারি বাঙলা কলেজের অধ‍্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ‍্যে বক্তব‍্য দেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ক‍্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি ড. কামাল উদ্দিন শামীম ও আহ্বায়ক হাবিব তাড়াশী।

‘শিল্পে মননে মুক্তিযুদ্ধ’ এ স্লোগানকে ধারণ করে ৯-১৩ মার্চ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ও বাঙলা কলেজ যুব থিয়েটারের ব‍্যবস্থাপনায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত‍্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে থিয়েটার উৎসব চলবে। দেশের ৫০টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উৎসবে অংশ নিচ্ছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে ভীতি তৈরি করা হচ্ছে। তারপরও সরকার থেমে থাকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করেছিলেন ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সে বলয়কে বাড়তে দেয়নি। তারা হত‍্যা, গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটেরা, শায়খ আব্দুর রহমান, হাওয়া ভবন, গ্রেনেড হামলা, বলয় তৈরি করেছিল। আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক বলয় অনেক বেড়েছে। এ ধরনের উৎসব তরুণদের মধ‍্যে বিরাট জাগরণ তৈরি করবে। বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেবে। জাতির পিতাকে হত‍্যা করার পর আমাদের অর্জিত সংস্কৃতিকে ঘুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন সাংস্কৃতিক চর্চা ছিল না। ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। জাতির পিতার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ‍্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এর একটিও কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৩
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।