ঢাকা: রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক স্বাধীনতার সূচকে ‘আংশিক স্বাধীন’ বাংলাদেশ।
২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতার চর্চায় বাংলাদেশ ‘আংশিক স্বাধীনের’ শ্রেণীতে থাকলেও স্কোর বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউজের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
‘বিশ্বে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা: গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের ৫০ বছর’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত ১৭ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার মানের অবনমন হচ্ছে। এরপরও যে দেশগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং যে দেশগুলোর পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি তাদের মধ্যে ব্যবধান কমেছে। ২০০৬ সালে স্বাধীনতার নেতিবাচক প্রবণতা শুরুর ব্যবধানের হার এবারই সবচেয়ে কম।
ফ্রিডম হাউজের সর্বশেষ প্রতিবেদনে গত ১০ বছরে স্বাধীনতার অবনতি হয়েছে এমন দেশের একটি তালিকা করেছে। ওই তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে।
২১০টি দেশ ও অঞ্চলের অবস্থান ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে ‘মোটেও স্বাধীন নয়’, ‘আংশিক স্বাধীন’ ও ‘স্বাধীন’ এই তিনটি শ্রেণিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতার পরিস্থিতি নিরূপণ করে থাকে।
প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বিরোধী দল এবং এর সঙ্গে যুক্ত বলে যাদের ধারণা করা হয়, তাদের, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে অব্যাহত হয়রানির মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা সুসংহত করেছে আওয়ামী লীগ।
এতে আরও বলা হয়, দুর্নীতি অবাধে ঘটছে এবং রাজনীতিকীকরণের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি বিরোধী প্রয়াসকে দুর্বল করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনায় দুর্বলতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বাংলাদেশে গুরুতর সমস্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
টিআর/আরএইচ