ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বারনই-ফকিন্নী নদীতে বাঁধ, পানির অভাবে এলএলপি বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
বারনই-ফকিন্নী নদীতে বাঁধ, পানির অভাবে এলএলপি বন্ধ

রাজশাহী: বাগমারা উপজেলা অংশের বারনই ও ফকিন্নী নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে শুকিয়ে গেছে পুঠিয়া উপজেলার জগদীশপুর অংশের নদীর পানি।

আর পানি না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে ভাসমান সেচ পাম্পগুলো (এলএলপি)। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেতের ধান ও বীজ তলা।

এ অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে তিনি সেখানে যান।

জানা গেছে, বারনই ও ফকিন্নী নদীর উজানে (বাগমারা উপজেলা অংশে) বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদী পুনঃখনন কাজ করছে। বারনই নদীর ভাটির দিকে পুঠিয়া উপজেলা অংশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর নামক স্থানে বারনই নদীর ওপর বিএমডিএ কর্তৃক নির্মিত রাবার ড্যামের আপ স্ট্রিমে সেচের জন্য বিএমডিএর ২৪টি বিদ্যুৎ চালিত এলএলপি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় ১৫০টি ডিজেল চালিত এলএলপি আছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় প্রায় অধিকাংশ এলএলপি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এসব সেচযন্ত্রের আওতায় আবাদকৃত প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির রোপিত ধান নষ্ট হওয়ার পথে। ২ হাজার হেক্টর বোরো ফসল সেচের অভাবে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে স্থায়ী কৃষকরা বিএমডিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জানান।

এছাড়া কৃষকরা বিএমডিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে মত বিনিময়কালে বোরো ফসল রক্ষার্থে বারনই নদীতে সেচের জন্য পানি সরবরাহ সচল রাখার জোর দাবি করেন। বিএমডিএর চেয়ারম্যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তারা ১৭ মার্চের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন বলে চেয়ারম্যানকে জানান।

বেগম আখতার জাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই কৃষকদের তাদের সেচের সুব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে সরকারের উন্নয়নের কাজও যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কৃষকের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য সুব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং সঠিক সময় যেন কৃষক পানি পায় তাদের ফসলি জমিতে সেজন্য নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ খানিকটা বিঘ্ন হলেও তারা কৃষকের পানির সু-ব্যবস্থা করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সেচ) জাহাঙ্গীর আলম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী সমশের আলী, সহকারী প্রকৌশলী আল মামুনুর রশীদ। এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮, ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।