ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‌‘ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের আগুন না ছাড়ানোর আহ্বান’

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
‌‘ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের আগুন না ছাড়ানোর আহ্বান’ কথা বলছেন পানছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমা।

খাগড়াছড়ি: ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের আগুন না ছড়াতে জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও পানছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি পানছড়ি থেকে জেএসএসের সশস্ত্র সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ারও দাবি জানান।

তিনি বলেন ‘জেএসএসের একদল সশস্ত্র সদস্য বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে এক নম্বর লোগাং ইউনিয়নের অধীন পূজগাঙ হাইস্কুলের পশ্চিমে প্রভুমনি পাড়ায় এসে অবস্থান নেয় এবং আজ সকাল থেকে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে এবং পানছড়ি-ধুদুকছড়া সড়কে গাড়ি থামিয়ে লোকজনকে হয়রানি করছে। ’

‘পানছড়ির জনগণকে গত শতকের ৮০ দশকে গৃহযুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এবং পার্বত্য চুক্তির পরে আবার তাদেরকেই প্রথম ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের আগুন পোহাতে হয়েছে মন্তব্য করে শান্তি জীবন চাকমা।

পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক বলেন, এই এলাকার জনগণ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কখনই ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি রক্তপাত চায় না। কিন্তু সরকারের একটি স্বার্থান্বেষী মহল জেএসএসের সুবিধাবাদী ও রাজনৈতিকভাবে অধঃপতিত-দেউলিয়াগ্রস্ত অংশকে দিয়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত জারি রেখেছে। ’

‘সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন যেকোনো পাহাড়ি তথা দেশের কোনো নাগরিক এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতকে সমর্থন করতে পারে না’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ওই কমিটির আহ্বায়ক।

তিনি বলেন, ‘যেখানে দুই পার্টি এক হয়ে, ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে একসঙ্গে লড়াই করার কথা, সেখানে ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি কেবল বেদনাদায়ক নয়, তা জাতির বিরুদ্ধে চরম অপরাধের শামিল। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।