ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উন্নয়নে মেহেরপুর জেলা দেশের শীর্ষে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
উন্নয়নে মেহেরপুর জেলা দেশের শীর্ষে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী 

মেহেরপুর: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, উন্নয়নে মেহেরপুর জেলা সারা বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুহাত ভরে বরাদ্দ দিচ্ছেন।

তাই জেলার মানুষ এখন খুশি।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
 
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহা. আব্দুস সালাম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক ও বারাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মেমিন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জেলার গ্রাম থেকে গ্রামের রাস্তা, ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের রাস্তা, উপজেলা থেকে উপজেলা ও জেলার সকল রাস্তাগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মেহেরপুরে বাইপাশ সড়ক নির্মাণ হয়েছে।  

মেহেরপুর—চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর—মুজিবনগর ও মুজিবনগর—দর্শনা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এখন প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে মেহেরপুর—কুষ্টিয়া রাস্তা উন্নয়ন কাজ চলমান।

তিনি বলেন, এই জেলায় আর কোনো স্কুলের বিল্ডিং নির্মাণ বাকি নেই।  প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর সুরম্য ভবন এখন আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলার ভৈরব নদ, স্বরসতি খাল, সেউটিয়া নদীসহ বিভিন্ন খাল ও শ্যামপুরের রুইমারির খাল খনন করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ায় জেলার হাজার হাজার মানুষ অটো রিকশা কিনে এখন উপার্জনের পথ পেয়েছেন।

প্রধান অতিথি বলেন, মেহেরপুর এখন শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। এখন চুরি ডাকাতি না থাকায় মানুষ রাতে নির্ভয়ে ঘুমাতে পারে। জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে মানুষ নির্বিঘ্নে যেতে পারে। কেউ তাদের মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়না। পায়ে গরুর দড়ি বেঁধে ঘুমাতে যায়না। অথচ, জামায়াত বিএনপির আমলে মানুষ ঘুম থেকে উঠে খবর নিতে কোনো কোনো বাড়িতে ডাকাতি ও খুন হয়েছে। অথচ এখন সকালে ঘুম থেকে উঠে খোঁজ নেন, কোন কোন বাড়ি দোতলা হয়েছে।

অধ্যাপক ফরহাদ বলেন, আমাদের সন্তান এখন বিনা পয়সায় বছরের শুরতে বই পাচ্ছেন। গরীব মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ প্রকারের ওষধ বিনা পয়সায় পাচ্ছেন। মানুষের আয় উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, আগে মানুষের মজুরি ছিল মাত্র ৬০ টাকা সেই মজুরি এখন বেড়ে ৫ থেকে ৭শ টাকা হয়েছে। মানুষ এখন ভাল আছে। নিরাপত্তার সঙ্গে ঘুমাতে পারছেন। সব ধরনের খাবার খেতে পারছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মেহেরপুরে ১৫ শ দরিদ্র মানুষকে গরু কেনার জন্য এক লাখ ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। নারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

শ্যামপুরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেহেরপুর জেলার একটি সমস্যা জর্জরিত ইউনিয়ন ছিল এই শ্যামপুর। আজ শ্যামপুরের রাস্তা—ঘাট, স্কুলের ভবনে নির্মাণ থেকে শুরু করে নানা ধরণের উন্নয়ন হয়েছে।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।